বান্দরবানে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার আদিবাসী পরিচয়ে দাবি, তীব্র প্রতিক্রিয়া পিসিএনপি

প্রকাশিত: ৬:২২ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,


আদিবাসী পরিচয়ের দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তাফা ফারুকীর সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটি বান্দরবান জেলা!

রবিবার (২৯ জুন) সকালে বান্দরবান পিসিএনপির এক কনফারেন্স হলে আদিবাসী পরিচয়ের দাবি তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করেন পিসিএনপির!
সূত্র জানানো হয়, গত ২৩ জুন সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সভায় ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন ২০১০ ‘সংশোধনের প্রস্তাব উখাপন করা হয়! সভায় প্রস্তাবিত ‘নৃ-বৈচিত্র্য সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অধ্যদেশ, ২০২৫ ‘এর আওতায় সাতটির ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে ‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়! সভায় সুপ্রদীপ চাকমা ‘আদিবাসী পরিচয়ের পক্ষে বক্তব্য দেন এবং বলেন,আমরা আদিবাসী শব্দটি চাচ্ছি শুধু আমাদের আইডেন্টিফিকেশনের জন্য! আমরা পাহাড়ি, বাঙালি এক সাথে থাকতে চাই! কারণ বাঙালিরা না থাকলে আমাদের উন্নয়ন সম্ভব নয়!”

এ বক্তব্যকে সংবিধানবিরোধী ও বিভাজনমূলক দাবি করে বান্দরবান জেলা পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিএনপি) জানিয়েছে, একজন দায়িত্বশীল পদে থেকে এমন বক্তব্য প্রদান অনভিপ্রেত এবং রাষ্ট্রের একক জাতিসত্তার ধারণার পরিপন্থী! সংগঠনটির দাবি বাংলাদেশের সংবিধানের ৬(২) অনুছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালি এবং নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের নাগরিক ‘এই নীতির বাইরে গিয়ে আদিবাসী পরিচয়ে দাবিকে উসকে দেওয়া রাষ্ট্রীয় স্বার্থের পরিপন্থী!

বিবৃতিতে (পিসিএনপি) আরও আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে সভায় ৭(ঘ) ধারা সংশোধনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির প্রস্তাব একপাক্ষিকতা তৈরি করতে পারে,যা পার্বত্য অঞ্চলে বাঙালিদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিত্ব সংকুচিত করার ঝুঁকি তৈরি করবে বলে দাবি জানিয়েছে!

পিসিএনপি চারটি প্রধান উখাপন করেছে-“আদিবাসী শব্দে ব্যবহার বন্ধে রাষ্ট্রেীয় নির্দেশনা, রাষ্ট্রবিরোধী অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা সাংস্কৃতিক অধিকার যেন সাংবিধানিক কাঠামোর বাইরে গিয়ে গোষ্ঠীগত আধিপতা বিস্তারে ব্যবহৃত না হয় এবং পার্বত্য  অঞ্চলে সহাবস্থান ও সমবিকাশ নিশ্চিতে রাষ্ট্রীয় সক্রিয়তা!

এছাড়া, উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি! পিসিএনপির দাবি, বিভিন্ন বরাদ্দে অনিয়ম ও সম্প্রদায়িক দৃষ্টিরভঙ্গির কারণে তিনি ইতি মধ্যেই -বিতর্কিত হয়ে উঠেছেন!ভবিষ্যতে তিনি যেন রাষ্ট্রবিরোধী কোন সিদ্ধান্ত না নেন, সে বিষয়ে সর্তক থাকতে আহবান জানিয়েছেন!

প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান ও সভাপতি আসিফ ইকবাল তারাই জানিয়েছেন -দেশের স্বার্থ বিরোধী কোন উদ্যাগ বা, কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইলে তারা ছাত্র ও জনতাকে সঙ্গে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন চলবে!

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবে সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাচ্চু,ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া সকল সাংবাদিকবৃন্দ!